শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
টঙ্গীর তুরাগতীরে আজ শুক্রবার ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
আজ ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজে বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ করে এই জামাতে শরিক হতে সকাল থেকে মুসল্লির ঢল নামছে ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে।
আল্লাহর পথে আহ্বানের শিক্ষা নিতে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ। চার দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা উপলক্ষে আবার মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিল্প শহর টঙ্গী।
আগামী রোববার ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন ঢাকার একাংশসহ দেশের ১৩টি জেলার মুসল্লিরা। এর আগে একই ময়দানে গত ১২-১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমায় পবিত্র কোরআন, হাদিস ও শরিয়তের বিভিন্ন বিষয়সহ মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ, মহানবীর জীবনাদর্শ এবং ইসলামের মূল বিষয় সম্পর্কে বয়ান করবেন আলেম-ওলামারা।
দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায় বুধবার সকাল থেকে মুসল্লিরা এসে নিজ নিজ জেলা চিহ্নিত ২৮টি খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেন। প্রথম পর্বে অংশ নেয়া অনেক বিদেশি মুসল্লিও দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন। ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রায় সাত হাজার পুলিশসহ র্যাব ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাবের হেলিকপ্টার আকাশে টহল দিচ্ছে এবং তুরাগনদে নৌটহলেরও ব্যবস্থা রয়েছে। বসানো হয়েছে র্যাব ও পুলিশের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া ইজতেমা এলাকায় গাজীপুরের পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পৃথক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য স্থাপন করা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য এবারও তুরাগ নদে সাতটি ভাসমান ব্রিজ চালু করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির জিম্মাদার প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, আজ শুক্রবার থেকে শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে চলে এসেছেন। তারা নির্দিষ্ট খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমা ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক নিরাপত্তা রয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকাসহ নির্দিষ্ট ১৬ জেলার মুসল্লিরা এ পর্বে অংশ নেবেন। যেসব জেলার মুসল্লিরা এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন, তারা ২০১৯ সালে অংশ নিতে পারবেন না। তবে বিদেশি মুসল্লিরা প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।